আইনেট প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালীপূজা গতকাল রোববার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালীমন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, সবুজবাগের শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান ও উত্তরাসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে শতশত ভক্তরা ভিড় করেন। রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে ভক্তরা কালীপূজা করেন।
কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তি। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশে কালীপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বালন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এছাড়াও ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামে শ্মশানকালী পূজা হয়েছে।গতকাল রোববার রাতে ঢাকার উত্তরায় ইষ্টি কুটুমে আয়োজিত কালী পূজায় ছিল ভক্তদের উপচে পরা ভিড়। স্থায়ী কোন পূজামণ্ডপ না থাকায় উত্তরা সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি অস্থায়ী ভাবে উত্তরার আজিমপুরে ইষ্টিকুটুমে তারা কালী পূজার আয়োজন করে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির পশ্চিম থানা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী হরিপদ রায়, সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ কুমার রুদ্র, বিশেষ উপদেষ্টা মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এবং উত্তরা সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি আহবায়ক দীলিপ কাজুরী তারা সকলেই দেশবাসীকে শ্যামা পূজার শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি উত্তরায় একটি স্থায়ী পূজামণ্ডপের জন্য জায়গা বরাদ্দসহ পূজামণ্ডপ স্থাপনের ব্যবস্থা করে উত্তরায় বসবাসরত ১ লাখ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উদযাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা দেশবাসীকে শ্যামাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।