
আইনেট প্রতিনিধিঃ শরতের আগমনের সাথেই কাঠি পড়েছে পুজোর ঢাকে। একটি বছরের অপেক্ষার পর মর্তে আসছেন দেবী দূর্গা। দশভূজাকে বরন করতে সর্বত্রই তাই সাজো সাজো রব। ত্রিপুরা জুড়েও ঘটা করে পুজোর আয়োজনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। হিন্দুদের সর্বশ্রেষ্ঠ পার্বনকে ঘিরে বর্তমানে প্রতিটি পূজো উদ্যোগতাদের মধ্যে যেন লেগেছে প্রতিযোগীতার ধুম। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমায় ছোট বড়ো মিলিয়ে শতাধিক পূজো হয়ে থাকে। এরমধ্যে কুমারঘাট শহরের বুকে রয়েছে কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজোও। যারা প্রতিবছরের মতো এবারও থিম পূজোর আয়োজনে নেমেছে। কুমারঘাটের সুভাষ সংঘ ক্লাব বিগ বাজেটের থিম পূজোর তালিকায় অন্যতম। সুভাষ সংঘের পূজোর ৪৬ তম বর্ষে এবছরের থিম রাজস্থানের জৈন মন্দীর। নবদ্বীপের ঊষা ডেকোরেটরের শিল্পীরা ফুটিয়ে তুলছেন রাজস্থানের জৈন মন্দীরকে। আলোকসজ্জা এবং প্রতিমা নির্মানেও নবদ্বীপ থেকে এসেছেন শিল্পীরা। দীর্ঘ প্রায় দেড়মাস ধরে চলছে সমস্ত কাজকর্ম। মণ্ডপের ভেতরে এবং বাইরের কারুকার্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তী। ক্লাব সদস্য আশিষ রায় জানিয়েছেন সব মিলিয়ে এবছরে তাদের পূজোর বাজেট ৩০ লক্ষ টাকা। তিনি জানিয়েছেন, পূজোর বাজেট বড়ো হলেও সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতে ক্ষয়খতির কারনে এবছর দূরপাল্লার গাড়ী এবং কৃষকদের থেকে কোন চাঁদা সংগ্রহ করছেনা ক্লাব কর্মকর্তারা। এতে পূজোর আয়োজন করে হিমসিম খেতেহচ্ছে তাদেরকে। ফলে নিজেদের মধ্যে চাঁদার পরিমান বাড়িয়ে দর্শনার্থীদের সামনে আকর্ষনীয় পূজো তুলে ধরতে তাদের প্রয়াস চলছে বলে জানালেন ক্লাব সদস্য। এবারের পূজোতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বিগত দিনগুলোকেও ছাপিয়ে যাবে বলে আশাবাদী ক্লাব কর্মকর্তারা।